শিক্ষা জাতিকে আলোকিত করে। 

শিক্ষা? মানেই কি শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা? 

অবশ্যই না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা একটি নিরাপদ রাস্তা যার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ জীবনের পেশা নির্ধারিত হয় মাত্র। এর বাইরেও শিক্ষার অভাব নেই। 

মানুষ শিখে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার মা-বাবা, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, সমাজ, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শুরু করে প্রায় সকল জিনিস থেকেই সে প্রতিনিয়ত শিক্ষা গ্রহণ করতে থাকে। তবে এই সব কিছুর পেছনে একটি বিষয় অগাধ ভূমিকা পালন করে। বলতে পারবেন কি সেটি কী? 

---

সেটি হল বই।

কিন্তু, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক বইগুলোর মান দেখে মনে হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা নাজেহাল। এতদিন শুধু প্রাতিষ্ঠানিক বইগুলোর কথাই শুনেছি, এখন শুনছি বইমেলাও এ থেকে বাদ যায়নি। আগে বই মেলায় স্বর্ণকারেরা আসতো তাদের লিখিত স্বর্ণাক্ষর নিয়ে। কিন্তু বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো খুললেই দেখা যায়, তা আর হচ্ছে না বরং যারা বইমেলায় আসছে তাদের মধ্যে গুটি কয়েক কয়লার খনি খোদাইকারি তাদের লিখিত কয়লার অক্ষর নিয়ে। জাতিকে অবনতির দিকে নিতে। আপনার কি তাই মনে হয় না?


শুধু তাই না, এরা এসেছে তো বটেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এরা নাম করে নিচ্ছে। "পঁচা জিনিসে মাছি একটু বেশি থাকে"- কথাটা সত্য।


এই কয়েক মাস আগের ঘটনা বাংলাদেশী এক ছোট্ট ছেলে, সুবর্ণ তার নাম, সে তার প্রতিভা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে যাচ্ছিল কিন্তু আমরা বাঙালিরা তাকে ছাড় দেইনি। উৎসাহিত করতে পারিনি বরং নিরুৎসাহিত করলাম। যদিও সে নিরুৎসাহিত না হয়ে বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়েছে। আপনি লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন এর পিছনের মূল কারণটা এদেশের বেকার যুবসমাজের কিছু অংশ। কথায় আছে একজন সফল ব্যবসায়ী আপনার অক্লান্ত পরিশ্রম দেখে কখনোই আপনার উপর হাসবে না, উন্নত মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী কখনোই আপনার বিশ্ববিদ্যালয় একটি আসন পাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রমের উপর হাসবে না। কেবলমাত্র একজন অসফল ব্যক্তি আপনার সফলতার জন্য পরিশ্রম দেখেই আপনার উপর হাসবে। 


তবে সেই বাঙালির কিছু অংশ কাছে আমার একটি অনুরোধ, ভবিষ্যতে যদি কাউকে উৎসাহিত করতে না পারেন তবে আপনি কাউকে নিরুৎসাহিত করবেন না। বরং, আপনি চেষ্টা করে দেখিয়ে দেন, আপনিও পারেন। আপনি দেখিয়ে দেন, বাঙালিও পারে❕ ক্ষমতা দেখিয়ে, বাটপারি করে, জোর করে একটি দলের বিপক্ষে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলায় বিজয়ী হওয়ার যায়। কিন্তু যখন একটি জাতি, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই মিলে তাদের দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে, তখন সেই জাতিকে কোনো দেশের বাপও আটকাতে পারে না। 


৭১-এর সেই লাখো-কোটি মানুষের প্রাণ, ৭৫-এর দেশের নেতার জীবন বৃথা যেতে দিয়েন না! আপনি আপনার অবস্থান থেকে সচেতন হোন, দেশ সচেতন হবে, জাতি অগ্রসর হবে। নিজেকে, নিজের মা-বাবাকে, নিজের দেশকে তুলে ধরুন; ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে না বরং কোন কিছু আবিষ্কার ও জয়ী হওয়ার মাধ্যমে, যার উপকার আপনি, আপনার পরিবার, দেশবাসী ও বিশ্ববাসী পাবে।


এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, আমরা কি বাঙালি থেকে বাঙাল হয়ে যাব? নাকি বাঙালি থেকে আধুনিক বাঙালি?


আমি চাই, সকল বাংলাদেশী আমার এই পোস্ট পড়ুক।