ভর্তি পরীক্ষা শেষ রেজাল্ট প্রকাশিত হয়ে গেল এখন রীতিমত অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিভ্রান্তের মধ্যে পড়ে যে কোন বিষয় নিয়ে পড়া উচিত। যেমন কোন একটা শিক্ষার্থী দুইটা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে একটাতে পেয়েছে ইইই, আরেকটাতে কম্পিউটার সাইন্স।


এমন তো অবস্থায় বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী হয় ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর তা না হলে অন্যজনের শরণাপন্ন হয়ে যেকোনো একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নে। আসলে একটা জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত যে আপনি যে বিষয়ে এখন নির্বাচন করবেন। সেই বিষয় নিয়ে সব শেষে আপনাকেই পড়তে হবে পরবর্তী চার বছর এবং পড়ালেখা শেষে আপনাকেই আপনার চাকরি খুঁজতে হবে এবং সেই চাকরি আপনিই করবেন। 

এতগুলো বিষয় মাথায় রেখে কিভাবে সঠিক টা গ্রহণ করবেন?

প্রথমত, নিজের passion কে খুঁজুন। একবার ভাবুন আপনার কি করতে ভালো লাগে। ফিজিক্স নাকি কেমিস্ট্রি? গাড়ি বানাতে নাকি কম্পিউটার নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে যেমন ওয়েবসাইট বানানো কিংবা একটা গেম বানানো? নাকি আপনার ইচ্ছা বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করতে কিংবা রোবটিক্স নিয়ে? এসব বিষয় নিজেকে প্রশ্ন করুন। হাতে যথেষ্ট সময় আছে। যদি আপনার পূর্ব নির্ধারিত কোন passion না থাকে। তবেদুই দিনের মধ্যে হলেও তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। 

আমি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দিয়ে সবার থেকে জেনে নিব এতে কি সমস্যা?

একটা জিনিস আপনি যাচাই করা এবং অন্যের যাচাইকৃত ফলাফল নিজে গ্রহণ করা এ বিষয়ে আকাশ পাতালের পার্থক্য আছে। আপনি যাকে কিংবা যে গ্রুপে জিজ্ঞেস করছেন সে গ্রুপে যত জনি কমেন্ট এর মাধ্যমে আপনাকে জানাবে যে ওই বিষয় নিয়ে কিংবা সেই বিষয় নিন তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন তারা সেটা নিজেদের কথা মাথায় রেখেই বলছে। আর এটাই স্বাভাবিক। তারা বা কিভাবে জানবে যে আপনা কোনটা করতে ভালো লাগে। আপনি কে পূর্বে আপনি কি করেছেন কোথা থেকে আপনি এসেছেন কিছু না জেনেই এমনি এমনি কি যে কারো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলবেন। প্রশ্নটা এমন নয় " আমি চুয়েটে ইইই এবং সাসটে কম্পিউটার সাইন্স পেয়েছি কোনটা ভালো হবে? " বরং প্রশ্নটা এভাবে করুন "ইইই এবং কম্পিউটার সাইন্স এ দুটোর মধ্যে কি কি কাজ করানো হয়? দেশে কোনটার সুবিধা বেশি কিংবা বিদেশে কোনটা সুবিধা বেশী?"।


এখন নিজে ভাবুন। নিজে সমাধান বের করুন। জিজ্ঞেস করে কাজ করতে গেলে পরে আফসোস হবে।

বাকিটা আপনার ইচ্ছা।