আমাদের সবার মনের মধ্যে একটা কথা সবসময় ঘুরপাক খায়। সেটা হল কতক্ষণ পড়ব? আসলে বলতে গেলে কতক্ষণ পড়ব এর কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি চাইলে এক ঘন্টাও পড়তে পারেন আপনি চাইলে দশ ঘন্টাও পড়তে পারেন। নির্ভর করে আপনার উপর। আপনি কে, আপনার মেধা শক্তি কেমন। একটা জিনিস ঠিক কতবার এবং কতক্ষণ পড়লে আপনি মনে রাখতে পারবেন তা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। সেটা আপনাকে খুজে বের করতে হবে যে আপনি কতক্ষণ পড়লেন এবং কতবার বললে সেই জিনিসটা মুখস্ত হবে।

এখন যদি আপনি বিভ্রান্তে থাকেন যে কিভাবে খুজে বের করব যে আবার কতক্ষণ লাগবে কোন কিছু মুখস্ত করতে? 
সর্বপ্রথম, জীববিজ্ঞান/বাংলা বই বের করুন অর্থাৎ এমন বই বের করুন যেটা আপনাকে বোঝার চেয়ে  বেশি মুখস্থ করার প্রয়োজন। এরপর দুই পৃষ্ঠা একবার পড়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন কি পড়লাম কতটুকু পড়লাম। যদি মাথার মধ্যে সামান্যতম আসে তাহলে বুঝবেন একবার পড়লে আপনার কিছুটা মুখস্ত হয়। এরপর পুনরায় ওই দুইটা পৃষ্ঠা আবার পড়ুন এবং আবার নিজে মনের মধ্যে কল্পনা করুন যে কি পড়লেন এতক্ষন। যদি দেখেন আপনার ওই সময় সব মনে হয়ে গেছে যে কি কি পড়লেন এবং মুখস্ত হয়ে গেছে তাহলে আপনি বুঝবেন যে আপনার কতবার ঠিক পড়লে এবং কতক্ষণ পড়লে একটা জিনিস মুখস্ত হয়। 

আসলে সবার মেধা এক রকম নয়। তবে হ্যাঁ কিছু কিছু জিনিস যেমন বাদাম দুধ ইত্যাদি খেলে ব্রেন তথা মেধাশক্তি বৃদ্ধি পায়। 

তাই পরবর্তী সময়ে যদি পড়তে বসেন তাহলে নিজেকে এই প্রশ্ন করবেন না যে এক ঘন্টা পড়ব না দুই ঘন্টা না 10 ঘন্টা। শুধু পড়তে বসলেন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার মনোযোগ স্থির কোন অন্য কোন দিকে মনোযোগ নেই শুধুমাত্র পড়ার দিকে মনোযোগ সেই ততক্ষণ ইফেক্টিভলি অর্থাৎ কর্ম দক্ষতা যাতে সবচেয়ে বেশি হয় ওই হিসেবে পড়ালেখা করুন এবং ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ আপনার মন স্থির এবং একদিকে অর্থাৎ পড়ার দিকে রয়েছে। 

মনে রাখবেন সঠিক স্থির মনোযোগ দিয়ে এক ঘন্টা পড়া,  পাঁচ-দশ ঘন্টা মনোযোগ না দিয়ে পড়া প্রায় সমান হয়।