চলছে লকডাউন। বন্ধ স্কুল-কলেজ। সেইসাথে বন্ধ অনেকের লেখাপড়া।
তবে স্কুল-কলেজ বন্ধ হলেও, ঘরে বসে কিভাবে পড়ালেখা করা যায়...

প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী:
প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলের অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হবে। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত মূলত একজন শিক্ষার্থী জীবনের সবার প্রথম জ্ঞান অর্জন করে যে জ্ঞান ব্যবহার করে সে তার বাকি জীবনে অন্যান্য সমস্যার সমাধান করে। তারা ছোট এইভেবে যদি তাদেরকে পড়ালিখা একবারই না করানো হয় তাহলে পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিবে। তাই এক্ষেত্রে অবিভাবকরা সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারেন। অভিভাবকদের দায়িত্ব এটাই যে, তার সন্তান অর্থাৎ আপনার সন্তান ঠিকমত পড়ালেখা করছে কিনা যেহেতু তারা ছোট তাই অবশ্যই তাদেরকে নিয়ে আপনাকে বসতে হবে। তাদেরকে নৈতিক শিক্ষা সবার আগে দিতে হবে। এ বয়সে শিক্ষার্থীদের যত বেশি পরিষ্কার পরিছন্নতা শিখাবেন তারা বড় হয় ততবেশি পরিষ্কার থাকবে। তাদেরকে অবশ্যই গণিত এর ওপর সাধারণ অর্থাৎ বেসিক জ্ঞানটুকু দিবেন। যেমন বিভিন্ন যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ এবং এদের প্রয়োগ কোথায় কিভাবে হয় সবকিছু। তারপর নিয়মিত তাদেরকে হাতের লেখা প্র্যাক্টিস করাবেন। অর্থাৎ নিয়মিত এক পৃষ্ঠা হলেও হাতে লিখা তাদের দিয়ে চর্চা করাবেন। 
যেহেতু এ সময় বাচ্চারা ঘরে থাকে তাই প্রায় সময় দেখা যায় তারা দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইল নিয়ে বসে থাকে। মোবাইল নিয়ে বিনোদন করা অবশ্যই খারাপ নয় কিন্তু মাত্রা অতিরিক্ত বিনোদন কিংবা তার অধিক সময় ধরে মোবাইল নিয়ে বসে থাকলে এটা এক ধরনের ব্রেইনে ইফেক্ট পড়বে তা ছাড়া মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়বে। তাই বিষয় অবশ্যই নজর রাখতে হবে। আপনার বাচ্চার নিরাপদ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার জন্য আপনি YouTube kids and Facebook kids ব্যবহার করতে পারেন। 







পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী:
পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর মধ্যের শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট আত্মনির্ভরশীল হতে পারে। তাই এ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উচিত নিয়মিত অনলাইন ক্লাসে যোগদান করা। তাদের বন্ধুরা সেই অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হোক বা না হোক। 
এছাড়াও এখানে শিক্ষার্থীরা ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে বিভিন্ন শিক্ষা সম্পর্কিত ভিডিও দেখতে পারে। এতে তাদের জ্ঞানের পরিধি আরো বড় হবে। 
প্রতিদিন অন্তত চার ঘন্টা হলেও লেখাপড়া করতে হবে। আর মোবাইলের ব্যবহার সর্বনিম্ন করাটাই উত্তম। কারণ একবার মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে গেলে থেকে বের হওয়া অনেক মুশকিল। 
তাই তোমাদের ভবিষ্যত জীবন তোমাদের হাতে। 

নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী:
যেহেতু এ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বয়সে যথেষ্ট বড় তাই তাদের উচিত নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন ক্লাসের যোগদান করা এবং এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া। 
সময় যতই দীর্ঘ হোক না কেন চলে যায় ঠিকই! তাই দুই বছর সময়ও চোখের নাগালে চলে যাবে।

এসএসসি পরীক্ষার্থী:
স্কুল জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষা....
এ পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কোন রকম অবহেলা মানে হলো জবনে অনেক বড় একটি ভুল এবং ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য একটি বিপদের সংকেত। তাই কোনো মতে এই সময়টা নষ্ট করা যাবে না। দৈনিক অন্তত ৭ ঘন্টা পড়ালেখা করতেই হবে। 
সময় কম! ২০২২ শিক্ষার্থীরা দুই বছর এমনিতেই স্কুলের কোন পরীক্ষা এবং ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। তাই সে অনুযায়ী তোমাদের যোগ্যতা হয়তো একটু কম। তবে হ্যাঁ যোগ্যতা নিজেকে অর্জন করতে হয়। তার জন্য সময় লাগে বটে। যে কোন শিক্ষার্থী চাইলে দুই মাসের মধ্যেই শেই যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। 
স্কুল বন্ধ হলেও, অনেক স্যার এখনও ব্যাচ পড়াচ্ছে। এমনকি অনেক কোচিং সেন্টারে পড়াচ্ছে। তাই সেসব কোচিং সেন্টার এবং স্যারের কাছে পড়াই অতি উত্তম। 
আর কোনো রকম কোনো ধরনের বিষয় যদি অসুবিধা হয় তাহলে ইউটিউব কিংবা ফেসবুকের সুবিধা নিতে পারো। এখন ইউটিউব ও ফেসবুকে এরকম অসংখ্য চ্যানেল বর্তমানে রয়েছে যারা কিনা শিক্ষাসংক্রান্ত  এবং পূর্ববর্তী বোড পরীক্ষার প্রশ্ন-উত্তর সম্পর্কিত ভিডিও আপলোড করে।








   ......Long time or short time whatever it is,
          it runs on it, it will pass one-day.......