ফ্রান্সের বরফে ঢাকা পর্বত যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আড়াই হাজার মাইল উচ্চতায় অবস্থিত নাম লাভডেভেল পর্বত। বরফে ঢাকা এ পর্বতের মধ্যে ইদানিং রক্তের মত লাল রং দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথা।

পৃথিবী জলবায়ু ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা গলে যাচ্ছে মেরু অঞ্চলের বরফ। এরই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা। বিপদে আছে নিম্ন অঞ্চলের দেশগুলো। তবে এরই মাঝে বরফে ঢাকা পর্বত গুলোর মধ্যে দেখা যাচ্ছে রক্তের মত লাল রং। বিজ্ঞানীরা বলছেন,  মাইক্রোস্কোপিক নামক এক ধরনের শ্যাওলার কারণে এই লাল রঙ দেখা দিয়েছে।‌‌তবে বিষয়টা মতে সাধারণ নয়। কারণ এ ধরনের শ্যাওলা লাল রং সব সময় তৈরি করে না। শ্যাওলা গুলো স্বাভাবিক রং সবুজ। তীব্র সূর্যালোক রশ্নি হতে বাঁচতে এগুলোর কোষে তৈরি হয় ক্লোরোপ্লাস্ট। এর ফলে লাল কেউটিন তৈরি হয় যা বাধা দেয় তীব্র সূর্যালোক রশ্মিকে।  তাই হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায়ও বেঁচে থাকে শ্যাওলা গুলো। এ শেলাগুলো স্নো-প্লান্ট নামেও পরিচিত। 

কেন বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথা:

পূর্বে, এ শেওলা নিয়ে তেমন একটা গবেষণা হয়নি। সে কয়েক বছর আগে একজন বিজ্ঞানী শ্যাওলাগুলো নিয়ে একবার গবেষণা করেছিলেন এবং কিছু তথ্য প্রকাশ করেন তারপর থেকে তেমন একটা গবেষণা চালানো হয়নি। শ্যাওলাগুলোর স্বাভাবিক রং সবুজ, সূর্যের তীব্র আলোক রশ্মি হতে বাঁচতে এগুলো লাল রংয়ের রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে। যা এদেরকে সূর্যের আলো থেকে বাঁচিয়ে রাখ। মূলত তীব্র সূর্যকে আলোক রশ্নিতে এর শ্যাওলা বাঁচতে পারে না দেখে এমন করে। এর সাথে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন বৈশ্বিক উষ্ণতা কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পৃক্ত বা সম্পর্কযুক্ত। অর্থাৎ মূলত জলবায়ুর পরিবর্তন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি অর্থাৎ বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ও বৃদ্ধি পাচ্ছে যার কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মেরু অঞ্চলে বরফ গলে যাচ্ছে। তবে পূর্বে এমন ঘটনা ঘটেনি দেখে এ নতুন ঘটনা নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। 

বিজ্ঞানীরা এখন নতুনভাবে গবেষণা শুরু করেছে। শীঘ্রই আরো ফলাফল প্রকাশ করা হবে। 

বরফ গলে কিভাবে?

আমরা সকলেই জানি সূর্যের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যায়। তবে সূর্যের এ তাপমাত্রা বরফে উপস্থিত উক্ত শ্যাওলাগুলো শোষণ করে নে এবং নিজেদের মাঝে তাপ জমা রাখে। শ্যাওলাগুলোর শোষণকৃত তাপের প্রভাবে এর আশপাশে থাকা বরফ গলে যায়। এভাবেও মূলত বরফ গলে। 

বৈষ্ণিক উষ্ণতা;

বৈশ্বিক উষ্ণতা, বর্তমান সময় এই নাম সাধারণ মানুষের মাথাব্যথার কারণ না হলেও বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথার কারণ। মানুষ মোটেও এ ব্যাপারে সচেতন নয় হবে কিভাবে যতক্ষণ পর্যন্ত না বড়সড় বিপদ মানুষের উপর না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মাথাব্যথা হয় না। বৈশ্বিক উষ্ণতা বলতে বুঝায়, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলবায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি যার ফলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড এর মধ্যকার ভারসাম্য হ্রাস পাচ্ছে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরপরে মেরু অঞ্চলে বরফ গলে যাচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নিম্ন অঞ্চলের দেশগুলো দিন দিন ডুবে যাচ্ছে কিংবা ভবিষ্যতে যাবে। 

আজকের এই ARTICLE এর সাথে বৈশ্বিক উষ্ণতা বিষয়টিও সম্পর্কযুক্ত তাই সাধারণ একটি ধারণা আপনাদেরকে দিয়ে দিলাম। 

বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে আপনার করণীয়; 

বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে যা করতে হবে,
১. বেশি করে গাছপালা লাগাতে হবে
২. বেআইনিভাবে গাছ কাটা নিষিদ্ধ করতে হবে কিংবা কোথাও বেআইনিভাবে গাছ কাটা হলে কর্তৃপক্ষ কিংবা উদ্ধারক কর্মকর্তার কাছে তা জানানো।
৩. একটি গাছ কাটলে তিনটি গাছ লাগাতে হবে এটি শুধু মুখে নয় বরং বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. যথাসম্ভব জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লা পেট্রোলিয়াম এগুলোর ব্যবহার কমানো। ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো যদি তা আপনার দেশে পাওয়া যায়। 
৫. জনসচেতনতা তৈরি করুন।
Visit website home page and read about technology games Bangla news