সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি


নিজস্ব প্রতিবেদক,১৮-০৬-২০২২, সিলেট

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী সহ অন্যান্য বাহিনীরা নেমেছে। পানি তীব্রতা এতটাই বেড়ে গেছে যে ওসমানী বিমানবন্দরে পর্যন্ত পানি ঢুকে গেছে। এছাড়াও বিদ্যুতের অফিসগুলোতে ও পানির ঢুকে পড়েছে। যার ফলে সিলেটে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। মূলত ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে জেলার নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নদীর তীর উপচে নতুন করে বিভিন্ন বাড়িঘরে পানি ঢুকছে। এমন অবস্থায় বন্যাকবলিত পরিববারগুলো দীর্ঘস্থায়ী দুর্ভোগের আশঙ্কা করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বেড়েছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩ সেন্টিমিটার এবং সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর বাইরে জেলার ছোট ছোট অন্যান্য নদ-নদীর পানিও ক্রমশ বাড়ছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানি ক্রমশ বাড়ছে।

এমনত অবস্থায় সিলেটের বসবাসরত প্রায় কয়েক হাজার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে এসএসসি পরীক্ষার সময় পেছানো হয়েছে। কোরবানির ঈদের পরে নতুন ভাবে এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। সিলেটসহ বাংলাদেশের আরো কয়েকটি জেলা বন্যা প্লাবিত হচ্ছে। প্রতিবছরই বর্ষাকালে অর্থাৎ জুন-জুলাই মাসে বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে অবস্থিত মানুষের এই কষ্টের সম্মুখীন হন। সিলেটসহ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে কয়েকটি জেলায় বন্যা প্লাবিত হওয়ার কারণে দেশে তরকারি দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। 

বলা হচ্ছে এবারের বন্যা পূর্বের চাইতে ভয়াবহ। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে এবং সেনাবাহিনী এ কাজে যথেষ্ট  সাহায্য করছে।।