ব্যবসা কি?

ব্যবসা 
 এমন একটি কাজ বা কর্ম যা স্বাধীন মত করা যায়। একজন ব্যবসায়ী মূলত স্বাধীনভাবে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এক্ষেত্রে সে অন্য কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অধীনে কাজ করো না। তাই একথা বলা যেতে পারে ব্যবসা এমন একটা কর্মক্ষেত্র যেখানে আপনি স্বাধীনভাবে আপনার নিজ কাজ করবেন। তাই অনেকে ব্যবসাকে স্বাধীন কর্মক্ষেত্র বলে থাকে। 

বাংলাদেশের কোথায় সবচেয়ে বেশি ব্যবসায় হয়?

বাংলাদেশের মূলত চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ ব্যবসার প্রতি অত্যাধিক ঝুঁকে। যার ফলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম থেকে হয়। বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামে অবস্থিত যেখান দিয়ে বিদেশ থেকে মালামাল আনা নেওয়া করা হয়। বলা যেতে পারে বাংলাদেশের মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চল সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। এটা আয়তনেও বিশাল। চট্টগ্রামে রয়েছে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, মিরসরাইয়ের শিল্প জোন বাংলাদেশের অর্থনীতি অঞ্চল (যেটি বর্তমানে তৈরি হচ্ছে)। বাংলাদেশে বাণিজ্যিক কেন্দ্র চট্টগ্রাম।
ব্যবসা     ব্যাখ্যা
ব্যবসায় লাভ লোকসানের উভয় থাকে। এক্ষেত্রে লাভ হলে আপনার, লোকসান হলেও আপনার। অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রে আপনাকে তা বহন করতে হবে।  


ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটা সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। অর্থাৎ আপনি যদি একটা ব্যবসা শুরু করেন তাহলে সেখানে আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে অন্য কারো নিয়ন্ত্রণ এর উপর থাকবে না এবংকি আপনার উপরও কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।  অবশ্যই তার মানে এই নয় যে আপনি আপনার ইচ্ছার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং সিদ্ধান্ত ফলাফল সম্পর্কে আপনি আগে থেকে সতর্ক হবেন না কিংবা আপনি নিজেও জানেন না আপনি কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। 
ব্যবসার মূলনতি হলো, টাকাকে সঠিক জায়গায় সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ব্যয় করা, এই টাকা থেকে যত টাকা আপনার লাভ হবে সে লাভ থেকে আপনি আপনার নিজের প্রয়োজনে কিছু খরচ করবেন আমি বাকিটা পুনরায় ব্যবসার কাজে লাগাবেন যাতে ভবিষ্যতে আরো টাকা উপার্জন করতে পারেন এবং এভাবে ব্যবসায় টিকে থাকতে হয়। 


আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি মূলত আপনাদেরকে ব্যবসা সম্পর্কে কিছু হালকা একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। জানিনা কতটুকু সফল হয়েছি কিন্তু আমি আমার সবটুকু দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি আশাকরি আপনাদের কাছে ভাল লেগেছে! >
• চলুন এখন জানা যাক কিভাবে এবং ব্যবসা কোথায় করতে হয়?
> আপনি হতে পারেন একজন মুদি ব্যবসায়ী। তারমানে আপনার নিজস্ব একটা ছোটখাটো দোকান রয়েছে যেখানে আপনি দৈনিন্দিন জিনিসপত্র যেমন চিনি, চাল, ডাল, আটা, ময়দা, আলু, পেঁয়াজ, মসলা, বিস্কুট ইত্যাদি বিক্রি করেন। মূলত, আপনার কাছে যদি অল্প পরিমাণে টাকা থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসায় নামতে পারেন।


>বিশ্বের বড় বড় গাড়ি, হোন্ডা, কাপড়চোপড়, ফ্যাশনেবল জিনিস, ইত্যাদি সহ যত রকমের জিনিস আপনি বাজার থেকে কিনেন তারচেয়ে কোম্পানি থেকে তৈরি হয়েছে কিংবা যারা এটা বিক্রি করছে তারাই ব্যবসার সাথে জড়িত। আপনি যেকোনো জায়গায় আপনার ইচ্ছামত ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি যে জিনিসটা নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তার উপর আপনার যথেষ্ট পরিমাণে জ্ঞান থাকা আবশ্যক, তা না হলে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হলো আপনি ইন্টারনেট কিংবা বই-পুস্তকে সহায়তা নিন। 

ব্যবসা ছোট পরিসরে শুরু করা যেতে পারে আবার ব্যবসা বড় পরিসরের শুরু করা যেতে পারে। নির্ভর করে আপনার উপর আপনার কাছে কতটুকু টাকা রয়েছে। 


এখন আপনার মনে একটা চিন্তা আসতে পারে যে আমি তো মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান তাহলে আমার কাছে অল্প টাকা কিংবা বেশি টাকা কিভাবে আসবে?! তাহলে আপনার জানানোর জন্য আমি বলে দিই, আপনি যেকোন মানুষের থেকে কিংবা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আপনি আপনার ব্যবসার কাজটি শুরু করতে পারেন।
 এক্ষেত্রে আপনার মনে হতে পারে যে এটাতো তো যথেষ্ট বিপদজনক রয়েছে। কারণ আমি যদি ব্যবসায় লোকসান খাই তাহলে তো আমার সমস্ত টাকা তো যাবেই সেইসাথে আমাকে লোনের টাকা দিতে হবে।
 তবে এক্ষেত্রে অবশ্য আমিও বলব যে,
 জীবনে কিংবা বিপদ ঝুঁকি না নিলে কখনোই অগ্রসর হওয়া যায়না।