দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি না ভন্ডামি


নিজস্ব প্রতিবেদক,মোঃ তাসিব, ছাত্র।

"একটা দেশ উন্নত করার পেছনে শুধু সরকারের অবদান থাকেনা, অবদান থাকে জনগণের, অবদান থাকে সরকারি কর্মীদেরও। তবে এদের মধ্যে যদি সবচেয়ে বড় অবদান টা কার সেটা দেখা হয় তবে তা জনগণেরই হবে।  দেশের জনগণই বা কারা ? একটা দেশে জনগণ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, চালক, শ্রমিক থেকে শুরু করে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নেতাকর্মী সহ যত শ্রেণীর মানুষ আছে সবাই। একটা দেশের জনগণ যদি সুসংবদ্ধ হয়, সকলের মাঝে যদি দেশের উন্নতির দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে তবে দেশতো এগিয়ে যাবেই।" কথাগুলো ছোট করেই লিখলাম। কারণ এগুলো মানে কয়জনে? 

অর্থনীতি সম্পর্কে আমার তেমন একটা ভালো ধারণা নেই। তবে বর্তমান বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি তা দেখে যার অর্থনীতি সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা নেই সেও বুঝে নেবে যে অর্থনীতি কোন পথে হাঁটছে। "লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের"- এই হেডলাইনটা শুধু বাংলাদেশ না বিশ্বের সকলের কাছে একটি পরিচিত এবং বর্তমানে সচরাচর দেখা যায় এমন একটি লাইন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এর পিছনের কারণটাই বা কি? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?‌ নাকি অন্য কিছু। বিশ্বের অন্যান্য দেশের কথা বাদ দিলাম। বাংলাদেশের কথাই বলি। দক্ষিণ এশিয়া ছোট একটি দেশ, বাংলাদেশ। এ দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের অভাব নেই। তবে তেলের জন্য অবশ্যই বহির্মুখী  নির্ভরশীল বেশি। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বলে কি জিনিসপত্রের দাম কেজিতে এত বেড়ে যাবে! জিনিসপত্র যে আমদানি কিংবা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় যাকে ট্রান্সপোর্ট বলে। সেটা কি এক কেজি করে নিয়ে যাওয়া হয়? নাকি কয়েকশ কেজি? নাকি কয়েকশো টন? কেজিতে পাঁচ দশ টাকা বাড়লে হয়তো তেমন একটা সমস্যা হতো না। তবে সবগুলো জিনিসপত্রের দাম কেজিতে এত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে যাকে "লাগামহীন" বললে চলবে না "লাগামহীন পাগলা ঘোড়া" বলতে হবে। এর পিছনে অবশ্যই তেল একা দায়ী নয়। দায়ীটা বাজার ব্যবস্থাপনারও আছে। ব্যবস্থাপনা না বলে অব্যবস্থাপনা বললেই ভালো হবে। এই যেন বাজারের ওপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণই নেই। 

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি যা তা দেখে মনে হচ্ছে কেন্দ্রে কয়েকজন লোক বসে আছে, যারা মানুষকে চুষে নিচ্ছে। তারাই চুষে ফুলে উঠতেছে আর এই দিকে সাধারণ জনগণ চুপসে যাচ্ছে। 

প্রতিটা জিনিসের দাম এতটা পরিমাণে বাড়ানো কতটা যুক্তিযুক্ত তা আমার জানা নেই। তবে একটা জিনিস চোখের সামনে দেখি। সেটা হলো সকাল ৪ টা থেকে দুপুর ৩ টা(+) পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সে অসহায় মানুষদের। যারা কিনা অল্প টাকায় রেশন পাওয়ার আশায় দাঁড়িয়ে থাকে। দেখা যায়, এক্ষেত্রেও দুর্নীতি! চিরচেনা পরিচিতজনদের আগে দেওয়া আর সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের দাঁড় করিয়ে রাখা। যেন সাধারণ জনগণের সময়ের কোন মূল্যই নেই। আসলেই কি নেই!?




"আমি কোনো অর্থনীতিবিদ নই। আমি একজন ছাত্র। বর্তমান পরিস্থিতির উপর নিজের লেখা একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করলাম মাত্র। অবশ্যই এতে কোন লাভ নেই। যা আগে ছিল তা পরেও বজায় থাকবে।"