সংখ্যা গঠিত হয় কতগুলো অংকের সমন্বয়। সংখ্যা দুই রকম হতে পারে। যেমন: কাল্পনিক সংখ্যা ও বাস্তব সংখ্যা। 

কাল্পনিক সংখ্যা কাকে বলে?

যে সংখ্যাকে বর্গ করলে সর্বদাই ঋণাত্মক মান পাওয়া যায় কখনোই ধনাত্মক মান পাওয়া যায় না তাকে কাল্পনিক সংখ্যা বলে। কাল্পনিক সংখ্যার প্রতীক, i=√-1।

বাস্তব সংখ্যা কাকে বলে?

যে সংখ্যাকে বর্গ করলে সর্বদাই যোগবোধক মান পাওয়া যায় কখনোই বিয়োগবোধক মান পাওয়া যায় না সেসব সংখ্যাকে বাস্তব সংখ্যা বলে। 

বাস্তব সংখ্যাকে নানাভাবে শ্রেণীবিন্যাস করা যায়। তবে নবম দশম শ্রেণীতে কাল্পনিক সংখ্যা নিয়ে তেমন একটা আলোচনা নেই। আসো জেনে নিই বাস্তব সংখ্যা শ্রেণিবিন্যাস:-

বাস্তব সংখ্যাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। মূলদ এবং অমূলদ। মূলদ সংখ্যাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় পূর্ণ সংখ্যা এবং ভগ্নাংশ সংখ্যা।

আবার অমূলদ সংখ্যাকে শুধু অসীম অনাবৃত দশমিক এ ভাগ করা যায়।

পূর্ণ সংখ্যা দুই প্রকার; ধনাত্মক, শূন্য, ঋণাত্মক। ধনাত্মক সংখ্যাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়; মৌলিক, এক, যৌগিক। 

ভগ্নাংশ সংখ্যাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়; সাধারণ, দশমিক। সাধারণ ভগ্নাংশ কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়; প্রকৃত এবং অপ্রকৃত। অপ্রকৃত ভগ্নাংশ থেকে মিশ্র ভগ্নাংশের উৎপত্তি ঘটে। দশমিক ভগ্নাংশকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়; সসীম, অসীম আবৃত। এছাড়াও অসীম অনাবৃত দশমিক ভগ্নাংশে ভাগ করা যায় যা অমূলদ  সংখ্যা। 

গণিত শুরুতে সংখ্যার উপর স্পষ্ট ধারণা থাকাটা হলো বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ গণিত শুরু হয় সংখ্যার ধারা। তাই সংখ্যা নিয়ে প্রথমে আলোচনা করা তা নিয়ে গবেষণা করা এবং এসব সম্পর্কে গভীর ধারণা থাকলে গণিতে আরো দক্ষতা অর্জন করা যায়।