এসএসসি পরীক্ষা ও বন্যা:

স্থগিত' এর কারণ:

 19 জুন এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারণে এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সিলেট সহ সারা দেশে প্রায় অন্যান্য জায়গা যেমন ফেনীতে ও বন্যা দেখা দিয়েছে। 

বন্যা হওয়ার কারণ:

মূলত নদীতে পানি ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া পাহাড় থেকে বৃষ্টির পানি নেমে আসার কারণে বন্যা হচ্ছে। একদিকে নদীতে পানি ধারণ ক্ষমতার বাইরে অপরদিকে ভারতের পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া বৃষ্টির পানি, এসব মিলিয়ে সারা দেশে বন্যা হচ্ছে। অনেকের মতে ভারত‌ তাদের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বন্যা হচ্ছে। তবে একজন অফিসার থেকে জানা মতে ভারত তাদের বাঁধ খুলে দেই নি। কিন্তু যে পানি ঘোলা আসছে তা ভারতের পাহাড় থেকে নেমে আসছে এগুলো বৃষ্টির পানি। যার ফলে প্রায় অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যেহেতু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে তাই সেখানে থাকা এসএসসি পরীক্ষার্থীরাও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে সিলেট জেলা বন্যা প্লাবিত হওয়ার কারণে সেখানে বসবাসরত লাখ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সরকারের কাছে আবেদন করেন পরীক্ষা পেছানো তাই 17 জুন পরীক্ষা সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়।

বন্যার ভয়াবহতা:

সিলেটবাসীদের মতে, গত ৫০ বছরেও এত ভয়াবহ বন্যা কখনো তারা দেখেনি।  বন্যায় মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে অনেক সম্পদ নষ্ট হয়েছে। যার ফলে লাখ লাখ শরণার্থীরা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র এবং স্কুলে আশ্রয় নিচ্ছে। এখন সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। নদীতে পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে আসা শুরু হয়েছে। আশা করা যায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বন্যার পানি সিলেট হতে সরে যাবে। তবে যদি এরই মধ্যে ভারী বর্ষণ হয় তাহলে বন্যা না আবার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে ঠিক না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। বন্যার কারণে, অসংখ্য শিক্ষার্থীর বই-খাতা পানির সাথে ভেসে চলে গেছে। সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। কৃষি জমি নষ্ট হয়েছে। বিপুল পরিমাণ ধান ও অন্যান্য শাকসবজি ফলমূল ইত্যাদি নষ্ট হয়েছে। যার ফলে দেশে তরকারি দাম আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
Advertisement 

এসএসসি পরীক্ষার পরবর্তী সময়সূচী:

বন্যার ফলে দেশে, ১৯ জুনে স্থগিত করে দেওয়া এসএসসি পরীক্ষা পরবর্তী জুলাই-আগস্ট মাসে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি ঘটে এবং বন্যার পানি সম্পূর্ণরূপে সরে গেলে আশ্রয়কেন্দ্র গুলো সম্পূর্ণরূপে খালি হলে মানুষ তার নিজের ঘরবাড়ি সব ঠিক করে তারপর স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্র গুলো পুনরায় পরিষ্কার এবং সেগুলো মেরামত করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোন তারিখের কথা উল্লেখ করে বলা হয় যে  এ তারিখে আসছে পরীক্ষা শুরু হবে। 
যেহেতু দেশে বন্যা হয়েছে তাই অন্তত হলেও একমাস সময় হয়তো লাগতে পারে। শিক্ষার্থীদের যথাসম্ভব পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া উচিত। পুনরায় সবগুলো রিভিশন এবং নতুন নতুন সৃজনশীল প্রশ্ন সমাধান করা উচিত।  বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে